চোখ বন্ধ করি,হঠাৎ চোখ খুলি, কেউ নেই। আবার হাত দিয়ে চোখ ঢাকি, কিছুক্ষন পর আবার চোখ খুলি, না তাও কেউ নেই, স্টেডলারের কাঠপেন্সিল্টা ঠিক আগের জায়গাতেই আছে। কেউ নেই, কেউ আসেনি। রাত বাড়ছে, কোথাও কেউ নেই, ভীষন কথা বলতে ইচ্ছা করে, কেউ নেই। কাঠপেন্সিলটা হাতে নিয়ে বসে থাকি, কিছুই লিখতে পারিনা, কিছুই না। তুষার তোরও কি মাঝে মাঝে এমন হয়? মাথার ভেতর ভীষন বাতাসের শব্দ শুনি, মনে হয় ফুরিয়ে আসছে সব। ওই যে রমনা পার্কের লেকের ধারের বেঞ্চিটার বয়স বাড়ছে, তাকে সঙ দিয়ে তার পাশের গাছটার বয়সও বাড়ছে, তার পাশের রাস্তাটাও পুরানো হয়ে যাচ্ছে, পুরান চেহারাগুলো কমে যাচ্ছে নতুন চেহারাগুলো বাড়ছে, ফুরিয়ে যাছে সব। হাওয়াই দীপে যাওয়ার সখ ফুরিয়ে যাচ্ছে, ফুরিয়ে যাচ্ছে ক্যালেন্ডারের পাতা, বয়স, স্বপ্নের ছোট-খাট গল্প, ফুরিয়ে যাচ্ছে...ফুরিয়ে যাচ্ছে সব। সেদিন বাসে আমার সামনে বসে এক তরুন তার প্রেমিকাকে বলেছিল, তাদের ভালবাসা কোনদিন শেষ হবে না। আমারও আগে ওই রকম মনে হত। কিন্তু একদিন আবিষ্কার করলাম, সেই ভালবাসাই শেষ হবে একদিন যা শুরু হয়েছিল, যার শুরু আছে তার শেষ আছে। সবই ফুরিয়ে যাবে, জেতে হয়। জীবন আর জীবনের সব কিছুই তাসের বাড়ি। আমার খেলা ফুরায় আসে, আমি কাঠপেন্সিল নিয়ে বসে থাকি, কিছুই লিখতে পারিনা। ইদানিং টিভিতে মরা মানুষের চোখের দিকে তাকালে আমি কিছু শব্দ দেখি- “game over”, “so it ends”, “goodbye- all that I had”, “feeling free”, “death is a magic”, “that’s real/pure”….সেইদিন ইরাকের এক যুবকের মৃত দেহ দেখাচ্ছিল, তার চোখে আমি স্পষ্ট দেখলাম লেখা- “আমি এখন জানি আসলে ঈশ্বর কে, হায় মানুষ কেন এখনও ধর্মের জন্য যুদ্ধ করে, সবার ঈশ্বরতো একি”,... মৃত্যু পরম সত্য, মৃত্যুর মাধ্যমে শেষ হয় সব রহস্য, তার পরেই জানা যায় সব সত্য। জীবন আর মৃত্যুর মুধ্যে খুব পাতলা একটা পর্দা,তারা পাশাপাশি থাকে সবসময়। অস্থির লাগে আমার, পেন্সিলটা নিয়ে বসে থাকি, কি লিখব বুঝে পাই না। সব ফুরায় আসে।।
(Nothing last forever)
Wednesday, January 16, 2008
Saturday, January 12, 2008
কোথাও কেঊ নেই ২
স্পর্শ কি?
এটা কি মেঘের মত নিবির কোন ভাসমান আরেকটা পৃথিবী, সমুদ্র!
মনের ভেতর একটা পুরানো বাড়ির দোতলার কোনায় ছোট্ট একটা রুম!
স্পর্শ কি বাতাসের কোন নদী,নদীর তীরে একটা ঘুড়ি হাতে বোকা ছেলেটার বিস্ময়?
নাকি এইটা অন্য রকম একটা রঙ,
রঙ তুলি হাতে লম্বা চুলের খামখেয়ালি আর্টিস্টের এবস্ট্রাক্ট আর্ট!
এটা কি শুধুই একটা শব্দ! নাকি এটা ধারন করে শব্দহীনতার বর্ণমালা,
স্পর্শ কি রবীন্দ্রসঙ্গীতের শরীর, কম্পমান কন্ঠসর,
স্পর্শ কি নারীর শীতল চোখ, নাকি তার চেয়েও গভীর!
এটা কি খালি পায়ে বৃষ্টি ভেজা রাজপথে হারিয়ে যাওয়া,
নাকি শৈশবের খেলার সাথির বারিয়ে দেওয়া হাত,
এতে কি এমন আছে যার জন্য চোখে জল আসে,
স্পর্শ থেকে জন্ম নিতে থাকে আরো স্পর্শ,
স্পর্শেই মুক্তি, ডানা ঝাপ্টানো, আকাশ থেকে আকাশে উড়ে জেতে আর কোন বাধা নেই,
স্পর্শ উষ্ণ, অমূল্য, নিমিষেই হারিয়ে যায়……..
রাত বেড়ে চলে, চারিপাশে নিশ্চুপ আধার,
কোথাও কেউ নেই, কোন কিছুই স্পর্শ করে না তখন,
তুষারের কবিতার কয়েকটা লাইন শুধু মনের মধ্যে ঘুরপাক খায়,
জীবনের কঙ্কালকে দেখি ল্যামপোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে বিড়ি টানে,
একটা হাত আমার কপালের কাছাকাছি এসে থামে,
হাতটা আমাকে মধ্যরাতের বারান্দায় একা ফেলে চলে যায়,
তখন ভীষন জানতে ইচ্ছা করে স্পর্শের বাইরে ওরা সবাই কোথায় কেমন আছে!!
এটা কি মেঘের মত নিবির কোন ভাসমান আরেকটা পৃথিবী, সমুদ্র!
মনের ভেতর একটা পুরানো বাড়ির দোতলার কোনায় ছোট্ট একটা রুম!
স্পর্শ কি বাতাসের কোন নদী,নদীর তীরে একটা ঘুড়ি হাতে বোকা ছেলেটার বিস্ময়?
নাকি এইটা অন্য রকম একটা রঙ,
রঙ তুলি হাতে লম্বা চুলের খামখেয়ালি আর্টিস্টের এবস্ট্রাক্ট আর্ট!
এটা কি শুধুই একটা শব্দ! নাকি এটা ধারন করে শব্দহীনতার বর্ণমালা,
স্পর্শ কি রবীন্দ্রসঙ্গীতের শরীর, কম্পমান কন্ঠসর,
স্পর্শ কি নারীর শীতল চোখ, নাকি তার চেয়েও গভীর!
এটা কি খালি পায়ে বৃষ্টি ভেজা রাজপথে হারিয়ে যাওয়া,
নাকি শৈশবের খেলার সাথির বারিয়ে দেওয়া হাত,
এতে কি এমন আছে যার জন্য চোখে জল আসে,
স্পর্শ থেকে জন্ম নিতে থাকে আরো স্পর্শ,
স্পর্শেই মুক্তি, ডানা ঝাপ্টানো, আকাশ থেকে আকাশে উড়ে জেতে আর কোন বাধা নেই,
স্পর্শ উষ্ণ, অমূল্য, নিমিষেই হারিয়ে যায়……..
রাত বেড়ে চলে, চারিপাশে নিশ্চুপ আধার,
কোথাও কেউ নেই, কোন কিছুই স্পর্শ করে না তখন,
তুষারের কবিতার কয়েকটা লাইন শুধু মনের মধ্যে ঘুরপাক খায়,
জীবনের কঙ্কালকে দেখি ল্যামপোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে বিড়ি টানে,
একটা হাত আমার কপালের কাছাকাছি এসে থামে,
হাতটা আমাকে মধ্যরাতের বারান্দায় একা ফেলে চলে যায়,
তখন ভীষন জানতে ইচ্ছা করে স্পর্শের বাইরে ওরা সবাই কোথায় কেমন আছে!!
কোথাও কেঊ নেই........

এখন কত সকাল? ঘড়ির কাটা ডেকে রোদকে নিয়ে আসে সাহাবাগের রাস্তায়। পাখিদের চোখে হাই তুলে আড়মোড়া ভাঙ্গে সকালের শান্ত রোদ। হয়ত তুমি এখনও বিছানায়, কাথা মুড়ি দিয়ে জানালার দিকে মুখ ফিরিয়ে ঘুম কাতর, জানালার ফাক দিয়ে হেলে পড়া কয়েকটি রোদের রেখা তোমার কপালে আলত করে ছড়ানো। আর এখানে আমি মধুর ক্যান্টিনে চায়ের কাপে দেই এক চুমুক, দুরের ওই বড় গাছটা দেখে তোমাকে মনে পড়ল। ওই যে দূরে তুমি, একটা শাদা শাড়ি পড়ে তুমি এইদিকে আসছ,আর অনভ্যস্ত শাড়ির আচলটা সামলাতে গিয়ে তুমি হিমশিম খাচ্ছ। ২১ বছরের যুবতি তুমি তখন, ওই শাড়িটা তোমার ছেলেমানুষিকে ঢাকতে পারেনি, কি যেন একটা নোট চাইলে তুমি…...আমার চায়ের কাপে আরেকটি চুমুক, আজ তোমার জন্মদিন,বলত তোমার জন্য কি এনেছি!!... কয়েকটি লাল আর নীল কাচের চুড়ি, সঙ্গে কয়েকটা তাজা কদম ফুল... তুমি নিচের দিকে তাকিয়ে আছ কেন?? এইসব কিছুইনা, আমার দিকে এইবার তাকাও, এই চোখ থেকে গভীরতাগুলো নিয়ে নাও, এইসব গভীরতা চুড়ির মত ভেঙ্গে যায় না, ফুলের মত পচে যায় না, এইসব গভীরতা অকৃত্রিম...... ওই যে দেখ আকাশে এলোমেলো ছড়ানো ছয় সাতটি তারা, কোনদিন যদি দেখ আমি পাশে নেই, যদি খুব একা লাগে তখন, যদি মনের বিষন্ন জানালাগুলো খুলে যায়, যদি......কেপে কেপে চোখে জমে উঠে পানি, তাহলে ওই তারাগুলো দেখ, ওখানে আমাকে পাবেনা, দেখবে আমাদের ভালবাসাগুলো প্রজাপতি হয়ে পাড়ি দায় মহাকাশ......দুরে কোথাও একটি তারা কেপে কেপে ওঠে, ওইখানে জমা রেখো দীর্ঘশাসগুলো......আরও কত কিছু বলেছিলাম তোমাকে.........আজ বেশি কিছু মনেও করতে পারিনা,......চায়ের কাপে আমার আরেকটা চুমুক, প্রচন্ড বৃষ্টি তুমি আমার হাত ধরে দৌড়াচ্ছ, রাস্তায় কোন রিক্সা নেই, তোমার পায়ের নূপূর ঝনঝন করে বেজে উঠছে, বৃষ্টির শব্দের সাথে ওই নূপুরের শব্দ মিলে তৈরী করছে এক অদ্ভূত অরকেস্ট্রা......বৃষ্টিটা বাড়ছে......সুতপা, দৌড়াও......তুমি ভিজে যাচ্ছ......আমার হাতে আর তোমার হাত নেই......ভীষন জমকালো একটা লাল শাড়ি পড়ে তুমি দৌড়ে উঠে গেলে একটা সাদা গাড়িতে............আমি দৌড়াচ্ছি একা একা.........বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে আমার সারা শরীর......তবু আমি দৌড়াচ্ছি......চায়ের কাপে আরেকটা চুমুক......ওই জায়গাটায় আমি আটকে যাই......আমার কাবল মনে হয় আমি দৌড়াচ্ছি বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে.........।।
Subscribe to:
Posts (Atom)