Sunday, September 26, 2010

অন্য কোথাও

সঞ্চয়ের সব সরঞ্জাম তোমাকে দিলাম। ইচ্ছেমত বানাও কাঠের ঝুল-ব্রিজ, পথের পাশে দেয়ালের মত চেরী গাছের লাইন, উঠোনে নরম স্রোতের ছোট্ট ফাউন্টেন... যে কোন কিছু! ইচ্ছে হলে বানাতে পারো রাজ্য বা রাজাদের অধিক উঁচু মার্বেলের মিনার, মেঘেদের সমান্তরাল মিহি হাওয়ার জানালা; বেছে নিও সন্ধ্যায় অন্য কোন আলোচনার প্লট; ভালো থেকো এই মিথ্যা-মিথ্যি সমাজনীতির হাইপোথিসিসে...

Friday, August 22, 2008

সিনোরিনা...

প্রিয় সিনোরিনা, চোখ মুছে নাও শতাব্দির হলুদ খামে,

আদিম অতৃপ্ত আকাঙ্ক্ষাগুলোকে তুমি এবার মুক্তি দাও,

তুমি জানতে চেয়েছিলে পাখি হয়ে ওড়ার অনুভূতি কেমন,তবে হয়ে যাও ব্যালোরিনা,

ছন্দ তোমাকে মুক্তি দেবে, দেবে প্রসারিত বাহুতে ডানার অনুভূতি,

তুমি মুক্তি চেয়েছ, চেয়েছিলে সব সম্পর্ক থেকে মুক্তি,

মুক্তি কি জানতে চাইলে প্যালেস্টাইনের বাতাসে জন্ম নাও,

চে গুয়েভারার ডাইরির গন্ধ শুকে নিও, ওখানেই মুক্তি আছে,

সিনোরিনা,তোমার স্বপ্নগুলো ছিল আকাশ ছোয়া,

তুমি স্বপ্নকে বলতে বাড়ন্ত চারা গাছ,সময়ের ভাজে তারা হারিয়ে গেছে নিয়মিতভাবে,

তুমি অভিযোগ করোনি,

সিনোরিনা জানো…আমারও এমন কিছু স্বপ্ন ছিল,

শর্ষে খেতের মত একটানা রঙ্গিন… বাতাসে বাতাসে ফসলের ঢেউ,

আমার স্বপ্নগুলোও………

তুমি চিঠি লিখতে তোমার মৃত মায়ের এপিটাফের ঠিকানায়,

সেসব চিঠির উত্তর পেতে না বলে তোমার মন ভীষন খারাপ হত,

তুমি জানতে চেয়েছিলে কেন এমন হয়,

এমন না হলেও তো পারত,

সিনোরিনা…

প্রিয় সিনোরিনা,

চোখ মুছে নাও শতাব্দির হলুদ খামে,

তুমি অর্কিডের রঙ দেখে অবাক হতে,

অবাক হতে ম্যাক্সিকান মিউজিকের মন ভালো করার অদ্ভূত ক্ষমতা দেখে,

জানো, আমি এখনো অবাক হই দু একটা কবিতা পড়ে,

ধন্যবাদ মাইকেল আ্যনজেলোকে যার ছবি দেখে এখনো অবাক হতে পারি,

ধন্যবাদ ম্যারি ক্যাসেটকেও,

যার ছবি দেখে অবাক না হওয়াটাই অসম্ভব,

সিনোরিনা, তুমি ভালোবেসেছিলে তোমার প্রতিবেশী জনাথনকে,

সে এক সাধারন কুমারের ছেলে দেখে তোমার বাবা মা তা মেনে নেয়নি,

প্রতি রোববার তাকে তুমি চিঠি লিখতে,

ভীষন কষ্ট ভালোবাসায়, তাই না সিনোরিতা!

আমার ভালোবাসার গল্প তোমাকে পরে আরেকদিন বলব,

রাত বাড়লে জানো…

ভীষন মন খারাপ হয়,

আকাশ দিয়ে এক ঝাক পাখির মত কি যেন উড়ে যায়,

কাক না ফিনিক্স জানি না, তারাও হতে পারে,

চোখ মুছে নেই শতাব্দির হলুদ খামে,

অনুভূতিশুন্য সময়ের বারান্দায় আমিও দাঁড়িয়ে থাকি তোমার সাথে,

হারানো স্বপ্নগুলোকে ভীষন ভালোবাসা দিয়ে আদর করি,

আর ক্ষমা করি ঈশ্বরের স্বার্থপর ক্ষমতাকে,

যা কেড়ে নেয় সব,

সিনোরিনা মানুষ মরে যায়, স্বপ্ন মরে না,

শতাব্দির হলুদ খামে ভেসে বেড়ায় বাতাসে,

আর নক্ষত্রের রাতে সে চিঠি পড়ে শোনায় এক গৃহত্যাগী জোছনা……।।

(বাসে বসে লিখা)

Sunday, July 13, 2008

যারা ছায়ায় থাকে আর যারা অন্ধকারে...৪


- রোদের আলোটাও আজ বেশ চোখে লাগছে। এই শহরটা কেমন গদবাধা নিয়মে আজকেও খামখাই ব্যস্ত, মানুষের কি ক্লান্তি আশে না? নাকি আমারি কেবল ক্লান্ত লাগে...নন্দিতা বলো কেমন আছো? 

-আমি দিব্বি ভালো আছি, তোমার কি মন খারাপ? 

-আমি ভীষন কষ্টে আছি, বুঝলে।  আজ সারাদিন ভীষন কষ্টে আছি। হাটতে কষ্ট, হাসতে কষ্ট, আম গাছের পাতায় আলতো রোদে কষ্ট, আমার ঘর-বাহির-জানালায় কষ্ট। কেমন যেন বৃষ্টির শব্দের মত একটানা অনেকখন কষ্ট।

- অপু তোমার কষ্টটা কি আমাকে বলা যায়?

- কষ্ট কি বলা যায়, বলো নন্দিতা? আসলেই কি বলা যায়! বলে ফেললেই কি সব কষ্ট চলে যায়? কষ্ট কি কাউকে দিয়ে দেয়া যায়? সবার জীবনেইতো কত আনন্দ-কষ্ট আসে যায়। তবে আমার কষ্টগুলোই কেবল যাচ্ছে না কেন? সবই তো ফুরায়, আমার কষ্টগুলো ফুরায় না কেন! 

- আমাকেতো বলতে পারো। দেখবে ভালো লাগবে।

- আমার খুব গভীর একটা কষ্ট আছে। জানো নন্দিতা, একটা কষ্ট মনের ভেতর অনেকদিন থাকলে তার জন্য মায়া জমে যায়। কষ্টটা আমার মনের ভেতর কোথাও দোলনায় বসে দোল খায়...তখন মানুষগুলোকে একেকটা নদী মনে হয়।

- আমি ছাড়া তোমার আর কে আছে বলো? তোমার কষ্টটা কী অপু?

- আজ না আরেকদিন বলব। আমি ভালো নেই, একটুও ভালো নেই।

- আজ না কেন? আজ বললে কী হয়? তুমি কথা এড়িয়ে যাও কেন?

- সব কেনো-র কারন থাকে না, মানুষের সব কাজেরও কারন থাকে না, অথবা মানুষ তা জানে না। যারা সব কিছুর কারন খুজে তাদের সুখ মরে যায়... বুঝলে নন্দিতা, মানুষের মন বড় বিচিত্র।

- সবার না তুমি আর তোমার মন বেশি বিচিত্র।

-হা হা হা কী তবে বিচিত্র না?

- তা তো জানি না।

- একটা লোমশ বিড়ালের গায়ে হাত দিয়ে দেখো, ঐ স্পর্শটা বিচিত্র, জলে হাটু পর্যন্ত পা দুবিয়ে দেখো, ঐ অনুভূতিটা বিচিত, ভালোবাসা সবচেয়ে বিচিত আর মানুষের জীবন তার চেয়েও......

- তুমি সব কিছু এত অদ্ভুত করে ভাবো কেন?

- কী তবে অদ্ভুত না?

- আবারো!

- আজ সারাদিন ভীষন কষ্টে আছি...

- কি এমন কষ্ট?

- থাক, আজ না, পরে আরেকদিন বলব।।

Tuesday, July 8, 2008

কোথাও কেউ নেই ৩...

অপেক্ষায় আছি, না কোন চিঠি আসেনি, তোমার চিঠি আসেনি। আসেনি অনেকদিন তাও কেন অপেক্ষায় থাকি তুমি কি জানো? আমি না কোন কারন খুজে পাই না।আমি জানি আসবে না, আর কোনদিন তোমার চিঠি আসবে না।তাহলে কেন অপেক্ষা করি? অপেক্ষায় কি সুখ? নাকি সান্তোনা? আচ্ছা সুতপা, অপেক্ষায় এত কষ্ট কেন বলতে পারো? অপেক্ষা ঘড়ীর কাটা দিয়ে মাপা যায় না, সমুদ্রের গভীরতা দিয়ে তা মাপলেও ভুল হয়ে যায় বারবার। বিজ্ঞান বলে দুইটা ঘটনার মধ্যবর্তী দূরত্বই হল সময়, তবে প্রতিটা সেকেন্ডের দুরত্ব সমান নয়, অপেক্ষা একটি গভীর সময়ের লুপ। অপেক্ষার প্রতিটি সেকেন্ডে লুকিয়ে থাকে এত এত সময়, বল আমি পালাই কোথায়?? তুমি অপেক্ষাগুলো তুলে নাও, বরং এর বদলে তুমি আমাকে কিছু কষ্ট দিয়ে দাও। যদিও আমার ঘরে শ্বশানের পাথর চাপা বোবা কষ্টগুলো গুমড়ে মরে, দিন দিন অপেক্ষাগুলো বড় দীর্ঘ মনে হয়। মাঝে মাঝে রিক্সার বেল শুনে জানালা দিয়ে উকি দিয়ে দেখি, না তুমি আসো না, আসবে না জানি। কিসের তবে অপেক্ষা!! বৃষ্টি আসলে দৌড়ে বাইরে যাই তোমার সাথে ভিজব বলে...দ্রূত ঘোর ভাঙ্গে, ঘরে ফিরে যেতে ইচ্ছা হয় না...একা একা ভিজি, তারমধ্যেও কী যেন একটা সুখ। কিন্তু আমারতো কষ্ট হবার কথা, তবে সুখটা কিসের!! জানি না, আমি জানি না। ফিরে আসো আর নাই আসো জেনো অপেক্ষায় আছি...সুতপা, অপেক্ষাগুলো খুব দীর্ঘ......খুব!! 

Sunday, April 13, 2008

জ়মে আছে জল, মুছে দে কেউ...


বরের কাগজ নিয়ে বসে আছি কখন থেকে, সকালের চা আসেনি এখনো। আমার স্ত্রী এখনো গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। তাকে বেস কিছুদিন ধরে খুব অন্যমনস্ক দেখি। সে আমার সাথে খুব স্বাভাবিক আচরন করে, কিন্তু তার হাতটা ধরেই আমি বুঝতে পারি আমাদের ভেতর একটা গভীর দুরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। কেউ তাকে ভাবাচ্ছে ভীষন, কেউ তাকে নিয়ে যাচ্ছে অনেক দূরে। সে আমাকে তেমন কিছু বলেনি, তবে সে একটু একটু করে বদলে যাচ্ছে। তার চোখের নিচে কালি দেখে আমি অবলিলায় বলে দিতে পারি সে আর এখানে নেই। মাঝে মাঝে তাকে জিগেস করতে ইচ্ছা হয় - কী তাকে ভাবায় এত। কেন যেন আমি তাকে প্রশ্নটা করতে পারিনি। দেয়ালে টাঙ্গানো ওর আর আমার ছবিটা দেখলে মনে হয় কোন রুপকথার বইয়ের মলাট। কিন্তু ছবিটা আমাকে ধিক্কার দিয়ে বলে ওটা একটা দস্তখতের সম্পর্ক, আমাদের ভেতর কোন সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। এতদিন বেস কেটে যাচ্ছিল দিন, হঠাৎ কী জানি কী হল। নকলের উপর আবার বসতবাড়ি কিসের...ওকে আমি ধরে রাখিনি, তাও সে দৌড়ে জেতে পারে না।প্রতিদিন সকালে জানালার গ্রিল ধরে সে দাঁড়িয়ে কী ভাবে কে জানে, আমার তা দেখতে ভালো লাগে না, ভাবি তাকে গিয়ে বলি জানালার বাইরের পৃথিবীতে জেতে তোমার কোন বাধা নেই, পারি না। আমি তা পারি না। আমি একজন দুর্বল মানুষ। আমার মেয়েটার ভীষন জ্বর, কাথা মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে আছে সে। তার খেলনাগুলো কার্পেটের উপর ছড়ানো। এই রোববার তাকে একটা বার্বি কিনে দেয়ার কথা ছিল। তাই শুনে তার সে কি আনন্দ। নতুন সে পুতুলের প্যাকেটটা তার মাথার কাছে পড়ে আছে।সে চোখ খুলেও দেখছেনা। আমার কোমরের ব্যাথাটাও ভোগাচ্ছে ভীষন। টেলিভিশনের রিমোট হাতে নিয়ে বসে থাকি।একটার পর একটা চ্যানেল বদলাই। যা বদলাতে পারিনা, তাই ভাবাচ্ছে ভীষন। আমার বাসার বাইরে কয়েকটা ফেরিওালা প্রতিদিন একি জিনিষ নিয়ে আসে, ওদের জীবনও কী একঘেয়ে? আমার মত সবারই কী দিন শেষে ক্লান্ত লাগে ভীষন। কী জানি কেন এমন লাগে। জীবনের এত এত জটিলতা ভাল লাগেনা, আমার সব ছেড়ে-ছুড়ে অনেক দূরে চলে জেতে ইচ্ছা হয়। কত দূরে গেলে শান্তি পাওয়া যায়? মানুষের জনপদে কোন শান্তি নাই, একাকীত্তে শান্তি নাই... ভাবি এক টুকরো মেঘের সাথে সন্ধি করে যদি ভেসে যেতে পারতাম, অনেক দূরে এক অনিশ্চিত আরেকটা জীবনের খোজে্‌......... সবুজ ঘাসের গোপন ইচ্ছা আমাকে নিয়ে যা... দলছুট মানুষের এক স্বপ্ন জমা হারানো পৃথিবীতে।।

Monday, April 7, 2008

মানুষ রোদ মানুষ ছায়া ৩

- ফোনের ওইপাশের পৃথিবীটা কেমন? তোমার পাশের ফুলদানিটার ফুলগুলো বাসি না তাজা তার খবর 
পাই না। ফোনের ভেতর দেখতে পারি না তোমার চারপাশের  দেয়ালটা কি  রঙের। জানি না তোমার চোখের নিচের দাগগুলো কি খুশিতে ঝলমল নাকি অল্প অল্প মন খারাপের মায়া মায়া অভিমানে কাতর। ফোনে এতটা তারের পথ পেরিয়ে শুধু ভেসে আসে তোমার কন্ঠস্বর, পানির মত টলমল করে সে শান্ত শব্দ। সেই শব্দে আমি দেখতে পাই তোমার অগোছালো রুম,তোমার এলোমেলো চুল,কয়েকটি কাচের চুড়ি 
টেবিলের উপর ছড়ানো, 
আমি দেখতে পাই মানুষের দৃষ্টির বাইরের ফটো ছবি। চোখে খসরা করে একে ফেলি সে ছবি।

-যে ছোট্ট জায়গাটা তুমি দেখতে পাও না ওটাই আমার ব্যাক্তিগত জায়গা, ওখানেই আমি থাকি। অপু আমার পৃথিবীটা অনেক ছোট। আমার পৃথিবীতে কোন ছবি নাই। আমার পৃথিবীতে কেবল স্পর্শের দালানকোঠা, স্পর্শের হাত-মানুষ-গন্ধ। কন্ঠস্বর দিয়ে আমি চিনি নাম। তোমার ওখানে ওটা কোন পাখির শব্দ শোনা যাচ্ছে? ওটা কি কোকিলের শব্দ?

- হুমম......। আজকে চোলে আসো ইস্টার্ন প্লাসের দোতলায় ফূচকার দোকানে। আজ পরে এসো তোমার খুব পছন্দের বিচ্ছিরি সিলভারের দুলগুলো, চাইলে তুমি আজ ইচ্ছামত সাজতেও পার।

- আর সাথে সাদার উপর লাল কাজ করা সালোয়ার কামিজটা?

- মন্দ হয় না...

- আর লাল টিপ?

- তাও পরতে পার...

- আর গলায় সস্তা মাটির মালা পরতে পারি,

- আজ তুমি সব পার...

- কেন?

- পূর্বাভাসে বলেছে, আজ সারাদিন সারাদিন জঘন্য বৃষ্টি হবে, আজ রাস্তায় পানি জমবে হাটু ছাড়িয়ে কোমড় পর্যন্ত, আজ তুমি যা খুশি করতে পার, শুধু বৃষ্টি দেখে বলতে পারবে না- "বৃষ্টিত যেয়োনা, ভিজলে ঠান্ডা লেগে যাবে।।"











Wednesday, April 2, 2008

সুতপা, আরো একটা চিঠি...

সুতপা কতদিন পর তোমার নামটা আবার চিঠির পৃষ্ঠায় লিখছি। প্রতিদিন মনে মনে কত কত চিরকুট লিখি তোমাকে। কে জানে সেইসব চিরকুট কোথায় জমা হয়। পোস্ট অফিস থেকে পোস্ট অফিসে যত কাগজের চিঠি জমা হয় প্রতিদিন, একজন সিরাজী তাকে চিঠি বলেনি কখনো। আমার চিঠি এক আবেগের ইতিহাস, বুকের ভেতর জমা এক ইতিহাসের বই থেকে ছেড়া একটি পৃষ্ঠা। ঠিকানা জানা নাই এমন কাউকে লিখে চলা চিরকুটই, আমার চিঠি। সুতপা, তুমি কী চিঠির কোন রুপকথা? অথবা বানানো একজন মানুষ! যদি তাই হয়, তাহলে বল, আমার কবিতার সব লাইনই কী শুধুই অদ্ভুত খেয়াল? তাহলে তোমাকে চিঠি লিখে চলি কেন? সুতপা, জানো, আমার প্রাই মনে হয় আমি কোথাও দেখেছি তোমাকে, হয়ত ঢাকার কোন রাস্তায় খুব সাধারন একটা চেহারায়। আমি জানি তোমার বারান্দায় তোমার নীল শাড়িটা শুকোতে দেয়া। রবিন্দ্রসঙ্গিত শুনে তুমি অন্ধকারের ভেতর ঢুকে আন্ধকার হাতড়ে খুজে ফেরো কাউকে। আর আমি বেচে থাকার মত বেচে আছি, আমার মত করে বেচে নেই। হিমেলের কয়েকটি বানানো হাসিকে মনে করে হেসে উঠি, এর চেয়ে তেমন বেশি ভালো নেই। স্বপ্নগুলো সিগারেটের ধোয়ার সাথে পাক খেয়ে মিলিয়ে যায়। অনেক রাতে বাসে করে ঘরে ফিরি। আমার খালি মনে হয় বারান্দায় তোমার নীল শাড়িটা বাতাসে নড়ছে, খুব সুন্দর নকসা করা একটা জামদানী শাড়ি। বাসের জানালা থেকে ওই বারান্দাটা অনেক দূরে......বাস চলে নিরব নিয়মিত প্রতিদিনের একি রাস্তা ধরে, দুই এক ফোটা চোখের জলের ফাকে তোমাকে লিখে ফেলি একটি খুব সাধারন চিঠি।।